রোববার থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে অনুষ্ঠিত ‘মর্ডানা (কোভিড-১৯) ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ ও প্রয়োগ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা জানান।
মেয়র রেজাউল বলেন, “সরকার সামর্থ্য ও সক্ষমতার সর্বশক্তি দিয়ে কোডিভ-১৯ সংক্রমণ রোধে টিকাকে সর্বসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছে। নগরীতে টিকা নেবার যোগ্য ১৮ বছরের ঊর্ধের কেউ বাদ পড়বে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও এটা শুভ ও স্বস্তিদায়ক বার্তা।”
সিসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে প্রতিদিন ২০০ করে কমপক্ষে ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। একাজে প্রতিটি বুথে দুজন প্রশিক্ষিত টিকা প্রয়োগকারী এবং তিনজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে জ্যেষ্ঠ নাগরিক, নিবন্ধনকৃত নাগরিক, আবেদনকৃত নাগরিক ও কাউন্সিলরদের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীরা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
মেয়র রেজাউল বলেন, “সোমবার থেকে স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে সরবরাহকৃত ফর্মে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।”
সরকার ৭ অগাস্ট থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু করছে। আট দিনে প্রায় কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যও ঠিক করেছে।
কোভিড-১৯ মোমারীর মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিস্তার দেখা দেওয়ায় তা প্রতিরোধের কথাও বলেন মেয় রেজাউল।
“তবে এর বিস্তার ঢাকার মতো এখনও প্রকট না হলেও এখন থেকে তা প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে। নগরীর কোথাও, বাসা-বাড়ি, খোলা জায়গায় পরিষ্কার পানি যাতে জমতে না পারে, সেদিকে কাউন্সিলদের দেখভাল ও তদারক করতে হবে।”
স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।