হালদা থেকে ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে প্রায় ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছে নৌ পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2021, 04:05 PM
Updated : 1 August 2021, 04:05 PM

রোববার নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার সদস্যরা বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে।

নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট অংশ থেকে হালদা-কর্ণফুলির মোহনা ও হালদা নদীর ছায়ার চর এলাকায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে এই অভিযোগ চালানো হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঈদুল আজহার বন্ধ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সুযোগে অবৈধ মাছ শিকারীরা হালদার বিভিন্ন স্থানে জাল পেতে রাখে।”

প্রায় ৪০ হাজার মিটার ভাসান জাল ও বেহুন্দি জাল এবং জাল বসানোর বিভিন্ন সরঞ্জম জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।

এর আগে হালদায় মা মাছ ও ডলফিন রক্ষা এবং বালু উত্তোলন বন্ধে নদীর বিভিন্ন অংশ নজরদারির আওতায় আনতে গত মার্চে সিসি ক্যামেরা বসানো শুরু করে নৌ পুলিশ।

হালদা নদীর ছায়ার চর অংশে কার্প জাতীয় মা মাছের পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন সময় ডলফিনের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়।

হালদা যেখানে কর্ণফুলীর সঙ্গে মিশেছে সেই কালুরঘাট সেতুর কাছের অংশ থেকে উজানে মদুনাঘাট হয়ে নাজিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে নদীর দুই তীরে হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি এই তিন উপজেলা।

কালুরঘাট থেকে সমিতির হাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশ ঘিরেই প্রজনন মৌসুম ও বছরের অন্যান্য সময়ে চলে চোরা শিকারীদের উৎপাত।

দক্ষিণ এশিয়ায় কার্প জাতীয় মাছের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র এবং বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম।

বিগত বছরগুলোতে টানা অভিযান চালিয়েও চোরা শিকারীদের দৌরাত্ম থামানো যায়নি। জাল ফেলে ও নদীতে বিষ প্রয়োগ করে করে দিনে-রাতে মা মাছ শিকার এবং ডলফিন হত্যার মত ঘটনাও ঘটেছিল হালদায়।