‘আদর্শের প্রশ্নে আপোস করেননি ইসহাক মিয়া’

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ইসহাক মিয়া আদর্শের প্রশ্নে কখনো আপোস করেননি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2021, 03:15 PM
Updated : 24 July 2021, 03:15 PM

শনিবার প্রয়াত এই আওয়ামী লীগ নেতার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই ৮৭ বছর বয়সে মারা যান।

শনিবার নগরীর আগ্রাবাদে হাজী পাড়া সুন্নিয়া জামে মসজিদের পাশের কবরস্থানে ইসহাক মিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নগর আওয়ামী লীগ নেতারা।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ইসহাক মিয়া ব্যক্তি হিসেবে মানবিক এবং রাজনীতিক হিসেবে ছিলেন এক কঠিন ইস্পাত দৃঢ় প্রতিরোধের শক্তি।

“আদর্শিক প্রশ্নে তিনি কখনো আপোস করেননি। একজন বড় মাপের নেতা হয়েও তিনি ছিলেন কর্মীবান্ধব। তাই ওনাকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে আমরা যারা নেতা, তাদেরকে কর্মীদের অন্তর স্পর্শ করতে হবে।”

নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “চট্টগ্রামে আওয়ামী ঘরানার অভিভাবক হিসেবে মরহুম ইসহাক মিয়ার দোয়া ও আশীর্বাদ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবে না।

“তিনি যোগ্য নেতাকর্মীদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কঠিন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের জীবনকে অর্থবিত্তে সমৃদ্ধ করার সুযোগ থাকার পরও সেদিকে তিনি নজর দেননি। তিনি নজর দিয়েছিলেন সংগঠনের প্রতি…।”

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইসহাক মিয়া ১৯৭০ এর নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তৎকালীন এইচ এম এরশাদ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদকে পরাজিত করে চট্টগ্রামের বন্দর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ইসহাক মিয়া।

তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মীরা ইসহাক মিয়াকে পেয়েছেন সামনের কাতারে।

শনিবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকারিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইব্রাহীম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান, পরিবারের পক্ষে শাহ নেওয়াজ রেদোয়ান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহেদা বেগম পপি, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, শৈবাল দাশ সুমন ও সাবেক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল।