কিশোরী ও গৃহবধূকে আটকে যৌনকাজে বাধ্য করায় ৩ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে বাসায় আটকে রেখে যৌনকাজে বাধ্য করার অভিযোগে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন পেয়ে এক কিশোরী ও গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2021, 02:29 PM
Updated : 24 July 2021, 02:29 PM

শুক্রবার রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধারের সময় এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুরমা বেগম ওরফে সুমি (৩৫), তানজিল হোসেন (২২) ও এমরান হোসেন (২৩)।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, উদ্ধার করা গৃহবধূ খাগড়াছড়ি থাকতেন। ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসার জন্য তিনি চাকরির খোঁজ করলে খাগড়াছড়ির এক ব্যক্তি তাকে চট্টগ্রামে সুরমার কাছে যেতে বলেন।

গত ৭ জুলাই ওই গৃহবধূ চট্টগ্রামে আসেন জানিয়ে ওসি বলেন, “নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে তার চাকরি হয়েছিল। কিন্তু সুরমা তাকে বাসায় আটকে যৌনকাজে বাধ্য করে এবং মারধর করে।”

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে ওই গৃহবধূ তাকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন। পরে রৌফাবাদ এলাকায় সোহাগের কলোনীতে সুরমার ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, “অভিযানে বাসা থেকে ওই গৃহবধূসহ ১৪ বছরের এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় সুরমাসহ আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি জানান, ওই কিশোরীর বাসা নগরীর ইপিজেড এলাকায়। তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সে গত রোববার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাতে থাকার আশ্রয় চাইলে কিশোরীর পরিচিত এক ব্যক্তি তাকে সুরমার বাসায় আশ্রয় নিতে বলেন।

সেখানে আশ্রয় নেওয়ার পরদিন ওই কিশোরী সুরমার বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে তাকেও আটকে রেখে মারধর এবং যৌনকাজে বাধ্য করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

উদ্ধার হওয়া কিশোরী এবং ওই গৃহবধূ মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলাও করেছেন গৃহবধূ।

ওসি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত আছে, তাদেরও ধরতেও অভিযান চলছে।