বুধবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শতভাগ বর্জ্য অপসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর দামপাড়া ওয়াসার মোড় এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শুরু করেন মেয়র।
সেখানে নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের পূর্ব ঘোষণা বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবকরা মাঠে রয়েছে।
“আমরা ৯৮ ভাগ বর্জ্য অপসারণ করে ফেলতে পারব। আগামীকালও কিছু কোরবানি হবে। আগামীকালের জন্যও একই ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করি, আমরা যে ঘোষণা দিয়েছিলাম সে ব্যাপারে শতভাগ সফল হব।”
গত দুবছর নগরীতে যত্রতত্র কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে যাওয়ার পর চলতি বছর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয় সিসিসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, “শহরের যেখানে যেখানে চামড়া রাখে সেখানে আগে থেকে পরিচ্ছন্ন বিভাগের লোকজন থাকবে, যাতে কেউ ফেলে না যায়।
নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় সকাল ৮টা থেকে বেলা দুইটার মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডের সব সড়ক ও অলিগলির বর্জ্য অপসারণ করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর কাজ শেষ করেছি।
“আমাদের ওয়ার্ডের কোনো এলাকায় আর কোনো কোরবানির বর্জ্য নেই। কোনো অলিগলিতে নতুন করে কোনো আবর্জনা দেখা গেলে কর্মীরা তা পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত আছে।”
“ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়ে গেছে। এবার নগরীতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে আর্বজনা হয়নি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৭৫০০ টন আবর্জনা অপসারণ। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টনের মত সংগ্রহ হয়েছে। হয়থ পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টন হতে পারে দিন শেষে। আমরা আগে যে ধারণা করেছিলাম সে তুলনায় কোরবানি এবার কম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৪০টি বড় আকারের কন্টেইনার রাখা আছে। আশেপাশের এলাকা থেকে সেখানে বর্জ্য এসে জমা হওয়ার পর তা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মোট ৩৩০টি গাড়ি নিয়ে সিসিসি’র পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আবর্জনা সরিয়ে নিচ্ছে।