বুধবার রাতে বন্দরনগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক।
শফিকুল হাসান (৬৭) দুই সন্তানের জনক।
বৃহস্পতিবার বিকালে আগ্রাবাদ হাজীপাড়া সিঙ্গাপুর মার্কেটের সামনের চত্ত্বরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হাজীপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার জানাজায় অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা প্রমুখ।
জানাজা শেষে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এক শোক বার্তায় নগর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, “প্রয়াত শফিকুল হাসান বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক হিসেবে একজন রাজপথের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরবর্তী এক দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ স্পৃহায় গর্জে উঠেছিলেন।
“তার মৃত্যুতে সংগঠন, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হল।”
আরেক শোক বার্তায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজীবন ধারণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল হাসান চট্টগ্রামে রাজনৈতিক অঙ্গণে ও এলাকাবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন।”
শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “শফিকুল হাসান একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে তিনি একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ছিলেন।
“তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ছিলেন। উনার মৃত্যুতে আমরা একজন দুঃসময়ের অকুতোভয় সৈনিককে হারালাম।”
নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, শফিকুল দলের দু:সময়ের সেনানী। উনার ত্যাগ ও নিবেদন আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।