বুধবার বিকালে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ড এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির উদ্যাগে সিআরবির সাত রাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নেই। আমরা এটি নিয়ে অনেকবার বলেছি এবং আন্দোলনও করেছি। গত আট বছর আগে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য নীতি নির্ধারকদের অনুষ্ঠিত সভায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সিআরবি এলাকায় একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণের দাবি করা হয়।
“কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন পরিবেশের কথা চিন্তা করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না করার অনুরোধ জানান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা পরিবেশের কথা বিবেচনা করে তা মেনে নেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ করার জন্য।”
“আজ পুরো ৬ একর জমি দিয়ে দিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল তথ্য দিয়ে কারা এগুলো করছে তা বের করার দাবি জানাচ্ছি এবং যারা এই চুক্তির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা হোক।”
সমাবেশ শেষে প্রস্তাবিত হাসপাতাল প্রকল্পের জন্য লাগানো সাইনবোর্ডের নিচে ‘চট্টগ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান’ লেখা একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সমাবেশ থেকে সিআরবির পরিবর্তে অন্য কোথাও হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডের সহকারি কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, মহানগর সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও মঞ্জুরুল আলম, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী কাজী নুরুল আবছার, সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সিআরবিতে শেষ হয়।