মঙ্গলবার বিকালে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য আছিয়া বেগমের কার্যালয় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নুরুল আলমের বাড়িও ইছানগর ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম (৫৫), তার ভাতিজা কোরবান আলী (২৮) ও মো. পারভেজ (২৫) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নুরুল আলম ইউপি সদস্যের ভাতিজা কোরবানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সে টাকার জন্য কোরবান আলী দুপুরে তাকে (নুরুল আলম) আছিয়া বেগমের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এরপর বিকালে ওই কার্যালয়ের সিলিংয়ের লোহার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নুরুল আলমের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নুরুল আলমের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও আছিয়ার ভাই নাছির আহম্মেদকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, “বাদীর অভিযোগ, টাকা আদায়ের জন্য নুরুলকে আছিয়া বেগমের কার্যালয়ে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।”
ওসি জানান, সুরতহালে নুরুল আলমের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় দড়ির দাগ ছিল।
আঘাতজনিত কারণে নুরুল আলম মারা গেছে কি না, তা ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে, বলেন ওসি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।