চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে আইসের বেশ কয়েকটি চালান ধরা পড়েছে। সর্বশেষ সোমবার রাতে র্যাবের হাতে এক কেজি আইসসহ ধরা পড়েছেন তিন মাদক কারবারি।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- শহীদুল ইসলাম টিপু (২৮), কাজী আমিনুর রশীদ (৪৮) ও সাইমন তারেক (৪৯)।
মঙ্গলবার র্যাব-৭ সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে ইউনিট প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, পাথরঘাটা ফিশারি ঘাটে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে ৯৭৫ গ্রাম আইস পাওয়া যায়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক জুয়েল বলেন, “খুব সহজেই এই মাদক সেবন করা যায়। ইয়াবা সেবনে বেশকিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হলেও এই মাদক (আইস) সেবন তূলনামূলক সহজ। খুব অল্প পরিমাণে সেবন করলে এটাতে দীর্ঘস্থায়ী নেশা হয়। সেই কারণেই এ মাদকটি সেবনকারীদের কাছে পছন্দের হয়ে উঠেছে।”
মাদকের উৎসস্থল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে এটি টেকনাফ থেকে আসার পর ধরা পড়ায় তারা মিয়ানমারকে উৎসস্থল মনে করছেন।
মাস সাতেক আগে রুবেল সৌদি আরব চলে যাওয়ার সময় মাদকগুলো তাদের দিয়ে যায় বিক্রির জন্য। যেগুলো তারা উচ্চ দামে বিক্রির জন্য তারা চেষ্টা করছিলেন।
চট্টগ্রামে প্রথম নতুন ধরনের মাদক আইসের চালান ধরা পড়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ১৪০ গ্রাম আইসসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব।
এরপর গত মে মাসে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা থেকে ২০০ গ্রাম আইসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আর ত ১৭ জুন কর্ণফুলী উপজেলা থেকে পাঁচ গ্রাম আইসসহ গ্রেপ্তার করা হয় আরও একজনকে।