মিতু হত্যা: মুছাসহ ৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তিন পলাতক আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2021, 01:51 PM
Updated : 12 July 2021, 01:51 PM

সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তিন আসামি হলেন- কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও খাইরুল ইসলাম কালু।

গত পাঁচ বছরেও কালুর হদিস পায়নি পুলিশ। মুছা পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ হলেও তার স্ত্রীর দাবি, ঘটনার পর পুলিশই তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। আর ভোলা গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে লুকিয়ে পড়েন দেড় বছর আগে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার আগে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ঢাকায় ছিলেন মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল নিজেই।

চলতি বছর মে মাসের শুরুতে এই মামলা চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় নতুন তদন্তের পর পিবিআই প্রতিবেদন জমা দিলে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী থেকে আসামিতে পরিণত হওয়া বাবুলকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা

২০০৩ সালে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর মুছা তার ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ শুরু করেন।

পুলিশ মুছাকে ‘পলাতক’ বললেও তার স্ত্রী পান্নার দাবি, ২০১৬ সালের ২২ জুন সকালে বন্দরনগরীর কাঠগড় এলাকার একটি বাসা থেকে তার স্বামীকে ‘পুলিশই’ তুলে নিয়ে যায়। সেদিনই মুছা ‘আত্মসমর্পণের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও দাবি পান্নার।

মিতু হত্যায় তার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন নতুন যে মামলা করেছেন, বাবুল ছাড়াও তাতে আসামি করা হয়েছে মুছা, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালুকে।

মিতু হত্যার ঘটনায় শুরুতে হওয়া অস্ত্র ও হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা গ্রেপ্তার হলেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিনে মুক্ত হন। আরেক আসামি খায়রুল ইসলাম কালু শুরু থেকেই পলাতক।