চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে খাঁচা থেকে ডিম বের করে এনে হাতে তৈরি ইনকিউবিটরে সংরক্ষণ করেছিলেন। তখন ৩৫টি ডিমের মধ্যে ২৬টি ফুটে অজগর ছানা জন্মেছিল। এবছর ৩১টি ডিম একই পন্থায় সংরক্ষণ করে ২৮টি ছানা ফুটেছে।
শুভ বলেন, “খাঁচায় ডিমগুলো রেখে দিলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেত। তাই আগের বারের মতো এবারও ৩১টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন তাপমাত্রায় ৬৭ দিন ডিমগুলো রাখার পর আজ ২৮টি অজগর ছানা জন্ম নিয়েছে।”
চিকিৎসক শুভ জানান, জন্ম নেওয়া অজগর ছানাগুলো ১৫ দিন পর চামড়া বদল করবে। এরপর ধীরে ধীরে সেগুলোকে খাবার দেওয়া হবে। তারপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে সাপগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে প্রথমবার জন্ম নেওয়া অজগর ছানাগুলো প্রায় তিন মাস পর্যবেক্ষণে রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হয়েছিল। তবে এবারে জন্ম নেওয়া অজগর ছানাগুলো আরও কম সময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাপের ডিমগুলো খাঁচায় থাকলে নষ্ট হয়ে যেত, তাই আমাদের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ ডিমগুলো সংরক্ষণ করে কৃত্রিম উপায়ে প্রজননের গবেষণা করতে চেয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সে কাজে উৎসাহ এবং সহায়তা করা হয়েছে।
রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের জানা মতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথম কৃত্রিম উপায়ে অজগর ছানার প্রজনন করেছে। তাছাড়া কোথাও এ ধরনের কাজ করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।”
কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেওয়া এ ২৮টি অজগর ছানা ফটিকছড়ি উপজেলার হাজারিখিলে বন বিভাগের অভয়রণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদ সচিব রুহুল আমিন।