শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে এই দুই পদে আগ্রহীদের নাম জমা দিতে বলা হয়।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এএইচএম জিয়া উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভাপতি পদে ৪৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩২ জন ফরম জমা দিয়েছেন।”
সম্মেলন শেষে আবেদনকারীদের তালিকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকা থেকেই পরবর্তীতে নগর কমিটি ঘোষণা করা হবে।
জিয়া উদ্দিন আরও বলেন, “আমরা বলেছি যারা ত্যাগী নেতা তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। আমাদের মতামতও নেওয়া হবে। বর্তমান কমিটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা ঢাকায় যাব।“
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগর কমিটির নেতারা জানান, ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করে কয়েকদিন পর কমিটি ঘোষণা করতে পারেন।
তবে শুরুতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করে আংশিক কমিটি ঘোষিত হতে পারে।
পরে ঘোষিত কমিটি ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।
নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাবেক মেয়র প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের দুটি পক্ষ রয়েছে।
মহিউদ্দিনের প্রয়াণের পর তার অনুসারীরা তার বড় ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষে রয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতেও এই দুই পক্ষের অনুসারী নেতাদের মধ্যে পদলাভের প্রতিযোগিতা চলছে বলে অনেক নেতাই জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা জানান, শীর্ষ দুই পদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ল টেম্পল এর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তসলিম উদ্দিন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ সাইফু্দ্দিন, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আইন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি সুজিত দাশ, আবদুর রশিদ লোকমান, মনোয়ারা জাহান মনির নাম আলোচনায় আছে।
২০০১ সালে সর্বশেষ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। গত ২০ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি।