চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষ: পাল্টাপাল্টি মামলা, আটক ২

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলার পর দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 03:20 PM
Updated : 17 June 2021, 03:24 PM

বৃহস্পতিবার চকবাজার থানায় মামলা দুটি করেছেন দুই পক্ষের অনুসারীরা।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌরভ ও তোরাব নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে চকবাজার থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মারামারির ঘটনায় একটিতে টিনুসহ ১২ জনকে এবং অন্যটিতে মাহমুদুল করিমসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।“

আটক দুই জন টিনুর পক্ষের অনুসারী বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী আব্দুল্লাহ আল সাইমুনের করা মামলায় চকবাজার যুবলীগের নেতা পরিচয়দানকারী নূর মোস্তফা টিনুসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারী আনসার উদ্দিনের করা মামলায় মাহমুদুল করিমসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার বাদী আনসার উদ্দিন বিপক্ষ গ্রুপের মামলার একজন আসামি।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয় জন আহত হয়।

নিজের অনুসারীদের উপর হামলার ঘটনায় মাহমুদুল করিম দায়ী করেন টিনুকে।

অন্যদিকে সুভাষের অনুসারীরা অভিযোগ করে মাহমুদুলের বিরুদ্ধে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কলেজ বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে অবস্থানের পাল্টাপাল্টি অভিয়োগ উভয়পক্ষের।

কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ জানান, আহত আনসার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

মামলার আসামি হলেও মাহমুদুল দাবি করেছেন ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল ও তার অনুসারীরা নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এখন তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে আছেন।

অন্যদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী টিনু ২০১৯ সালের অক্টোবরে নিজ বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন।

কারাগারে থেকেই তিনি চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্ত হন।