বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাঠের কাছে রাস্তায় এ সংঘর্ষের পর দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্প্রতি ছাড়া পাওয়া এক সন্ত্রাসীর নির্দেশে বহিরাগতরা আমাদের চার-পাঁচজনকে ধরে নিয়ে প্যারেড মাঠের কোণায় মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে।
“শক্তি প্রদর্শনের জন্য ও আধিপত্য দেখাতে এ হামলা চালিয়েছে। আমাদের কমিটির সেক্রেটারিও ইন্ধন দিয়েছে। এখন কলেজ বন্ধ, কোনো কারণ নেই এ ধরনের হামলার।”
মাহমুদুল করিম দাবি করেন, হামলায় তার অনুসারীদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল সাইমন, কাজী মো. আবদুল মালেক রুমি, আবু তোরাব ও শাফায়েত হোসেন রাজু আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে সাইমন ও রুমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৫ দিন আগে থেকে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে শুরু করে। সভাপতি অছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে দিন-রাত থাকে।
“আমরাও তাদের নিষেধ করেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে সন্ধ্যা ৬টার পরে যেন কেউ না থাকে। সকালে তাদের একজনকে পুলিশ আটক করলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে।”
সুভাষ মল্লিক দাবি করেন, হামলায় তার অনুসারীদের মধ্যে সিরাজ, ফয়সাল ও শিমু নামে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্যারেড মাঠের কোনায় দুই পক্ষের মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে। কেন মারামারি করেছে তা আমরা জানি না। কাউকে সেখান থেকে আটক করা হয়নি।”
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম ও তার অনুসারীরা নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এখন তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে আছেন।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ চকবাজারের যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। টিনু ছিলেন সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী।
২০১৯ সালের অক্টোবর নিজ বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন টিনু। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে থেকেই তিনি চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।