বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ষোলশহর এলাকায় কেজিডিসিএল ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
জালিয়াতির মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানের নামে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে কেজিডিসিএলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সরোয়ার হোসেন ও সাবেক ব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমানকে সকালে গ্রেপ্তার করে দুদক।
এ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিকালে নিজেদের কার্যালয়ের সামনে দুই কর্মকর্তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ডাকে কেজিডিসিএল অফিসার অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়ন।
কেজিডিসিএল সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ‘সৎ কর্মকর্তা’।
“কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হতে পারে, সেখানে দেখতে হবে কোম্পানি কিংবা সরকারের ক্ষতি হয়েছে কিনা। যেখানে প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতি হয়নি, সেখানে কাজ করতে গিয়ে যদি এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়, তাহলে বেতন নিয়ে সবাই ঘরে বসে থাকবে।”
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার একটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে বুধবার একটি মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।
গ্রেপ্তার দুজন ছাড়াও কেজিডিসিএল’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, টেকনিশিয়ান দিদারুল আলম এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, হালিশহরে এমএ সালাম নামে এক ব্যক্তির নামে বরাদ্দ ১৮টি দ্বৈত চুলার সংযোগ থেকে ১২টি চুলা চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ‘ভুয়া চুক্তিনামা’ করে। অথচ এক গ্রাহকের নামে বরাদ্দ সংযোগ অন্য গ্রাহককে দেওয়ার বিধান নেই।