এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গ্যালারিতে অবস্থিত চট্টগ্রাম ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার ও পৌনে সাত লাখ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
এর পরপরই ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যলয়টি সিলগালা করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তাকে প্রধান করে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিজেকেএস সহ-সভাপতি হাফিজুর বলেন, “আমরা তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। সেটির ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ওই কার্যালয় কাউকে প্রবেশ না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিস টাঙানো হয়েছে।
ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সম্প্রতি চট্টগ্রামে ফুটবল ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। অ্যাসোসিয়েশনের একটি কক্ষকে ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির অস্থায়ী কার্যালয় বলা হলেও মূলত সেটিতে রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসে।
ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ফিফা রেফারি আব্দুল হান্নান মিরণ এ ট্রেনিং একাডেমিরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছে।
রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানেও সেখানে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তবে সেসময় কাউকে পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যে কক্ষটি ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিতে আলাদা সিঁড়ি তৈরি করে দতালা করা হয়েছে। সেখানে বসেই জুয়া খেলেন বিভিন্ন লোকজন।