পুলিশ জানিয়েছে, এদের একজন সিগারেট লুটের ‘হোতা’ ও অন্য দুজন লুট করা সিগারেটের ক্রেতা।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে রোববার তাদের গ্রেপ্তার করে লুট করা সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- লুটের ‘হোতা’ মো. নূর নবী (৩০) এবং সিগারেটের ক্রেতা মো. শাহজাহান (৬০) ও তার ছেলে এনায়েত উল্লাহ শান্ত (২৬)।
শান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী। কুমিল্লা সদরে তাদের দোকান রয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারীশ জানান, রোববার চট্টগ্রামের বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে নূরন বীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে কুমিল্লা সদরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও থেকে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার এবং লুট করা ৯২ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়।
গত ২৭ মে ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর পোস্তারপাড়া এলাকায় আবুল খায়ের গ্রুপের ডিলার খাজা ট্রেডার্সের গুদামে ডাকাতি হয়।
উপকমিশনার ওয়ারীশ বলেন, “ওই গ্রুপটি আন্তঃজেলা ডাকাত দল। আর নবী ওই সিগারেট লুটের মূল হোতা। ১০ থেকে ১২ জন লোক ওই দিনের লুটপাটে অংশ নেয়।”
গত মার্চ মাসে পতেঙ্গা এলাকায় নৈশ প্রহরীকে খুন করে সিগারেট লুটের ঘটনায়ও এ চক্রটি জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
ওয়ারীশ বলেন, “আগে বিভিন্ন কিছু তারা ডাকাতি করলেও বর্তমানে সহজে বিক্রি, বহন ও রাখার সুবিধার্থে সিগারেট লুট করে করে থাকে।”
ডাকাতরা গুদাম থেকে ৩৩ লাখ টাকার সিগারেট কুমিল্লায় নিয়ে ১৯ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেই সিগারেট কিনেছিলেন শাহজাহান ও তার ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ চক্রটি ডাকাতি করতে বাধা পেলে খুনও করে থাকে। তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও কুড়িগ্রামেও প্রহরীকে খুন করে সিগারেট লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাধা পেয়ে গোলাগুলি করে তারা পালিয়ে আসে।