টিকাদান ভণ্ডুল করতে গণমাধ্যমে মিথ্যে প্রচারণা: নওফেল

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম ভণ্ডুল করতে একটি পক্ষ নিজেদের মালিকানাধীন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2021, 04:37 PM
Updated : 28 May 2021, 04:37 PM

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অক্সিমিটার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নওফেল বলেন, “জিয়াউর রহমানরা বাংলাদেশকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। অনেকদিন ভুল গন্তব্যে চলার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে ফিরেছে। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। ধর্মের নামে হানাহানি নেই।

“এগুলো একটা পক্ষের সহ্য হয় না। সহ্য হয় না বলেই একটা সুনির্দিষ্ট শিল্প পরিবার, যাদের ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবসা আছে। সরকারের সাথে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করে। তাদের মালিকানাধীন দুটা-পাঁচটা পত্রিকা আছে। তারা বেছে বেছে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন লিখে বেড়ায়।”

তাদের সাথে বিএনপির অনেক বড় বড় নেতার সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে নওফেল বলেন, “চট্টগ্রামেরও একজন নেতা আছেন চায়ের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত। জানেন, খালেদা জিয়ার বাবা তাদের চায়ের বাগানে ম্যানেজার ছিলেন। ওই পরিবারের শিলিগুড়িতে চায়ের স্টেট ছিল। গোপনে গোপনে কার স্বার্থসিদ্ধি করে সংবাদ ছাপায় আমরা জানি। এ তথ্যগুলো সবাই জানে।”

জিয়া জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার দাবি:

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে নওফেল বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সাথে বেঈমানি করে খুনি মুশতাক যেটা শুরু করে, খুনি জিয়াউর রহমান বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরকে ও সৈনিকদেরকে হত্যা করে। এই সামরিক বাহিনীকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিমুখে পরিচালিত করতে চেয়েছিল। এই কাজটা ৭৫ পরবর্তীতে শুরু হয়।

“সর্বত্র পাকিস্তানি মানসিকতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য জিয়াউর রহমান বেছে বেছে সর্বত্র সিভিল সার্ভিস থেকে, প্রতিটা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়িত করেছিল। পাকিস্তানের সাথে ফেডারেশন করার তাদের পরিকল্পনা ছিল। বহু কাগজ, দলিলপত্রে আমরা এগুলো দেখি।…

“আমাদের একটা দুর্ভাগ্য এই চট্টগ্রামে একটা পুরাতন স্থাপত্য তার নামে। কালুরঘাটের মেশিন যেটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সেটা এখানে রেখে তার নামে পুরো স্থাপনাটা জাদুঘর বলে বলা হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের ও যুব বিদ্রোহের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাটিকে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর চট্টগ্রামের’ অংশ হিসেবে ঘোষণা করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানান নওফেল।

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানের মত একজন খুনির নামে এখানে জাদুঘর করা হবে আর সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে সেখানে লোক পালব তা চট্টগ্রামবাসী মেনে নিতে পারি না।”

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।

বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও আবদুর রাজ্জাক, চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি।