নগরীর ডবলমুরিং থানার মোগলটুলি কাটা বটগাছ এলাকার একটি বাসা থেকে সোমবার রাতে দুই তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয়জনকে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আক্তার হোসেন (৬৩), আবু হোসেন টিপু (২৯), মজিবুল বশর ওরফে রাজু (২০), আলমগীর হোসেন আলম (৩৫), ইকবাল হোসেন জুয়েল (৩১), বেলাল খান (৩১)।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আক্তারের ওই বাসায় তরুণীদের আটকে রেখে ‘দেহ ব্যবসা’য় বাধ্য করা হত। পাশাপাশি মাদক সেবন এবং বিভিন্ন জনকে নিয়ে গিয়ে টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটায় তারা।
একটি আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক যুবককে গত ১৫ মে রাতে কাটা বটগাছ এলাকার জাফর সওদাগর ভবনের তৃতীয় তলায় একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর করে তিনটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
‘ছিনতাইকারী’ জুয়েলকে সোমবার রাত ১১টার দিকে কাটা বটগাছ এলাকায় দেখে পুলিশে খবর দেন ওই যুবক। তখন জুয়েলকে নিয়ে তৃতীয় তলার ওই বাসায় যায় পুলিশ। সেখানে দুই তরুণীকে দেখতে পায় এবং অন্যান্য আসামিদের আটক করা হয়।
আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি দাবি করেন, তখন পালানোর সময় আক্তার সিঁড়িতে পড়ে পা ভেঙে ফেলেন।
উদ্ধার করা তরুণীদের মধ্যে একজনকে গত ১৪ এপ্রিল থেকে এবং অন্যজনকে ১১ মে থেকে থেকে ওই বাসায় আটকে রাখা হয়েছিল বলে তারা জানান।
এক তরুণী বলেন, তিনি আগে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তার চাকরি চলে যায়। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে আকাশ নামে পূর্ব পরিচিত এক যুবক বাসাটিতে নিয়ে যান। পরে তিনি (তরুণী) জানতে পারেন যে তাকে আক্তারের কাছে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া এক তরুণী মোট আটজনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে মামলা করেছেন বলে জানান ওসি মহসিন। ছিনতাইয়ের শিকার যুবকও দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করেছেন।