গ্রেপ্তার শামছুল হুদা জিকু (২৬) ইসলামী ব্যাংকের বগুড়ার কাহালু ব্রাঞ্চে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার’ হিসেবে কর্মরত। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বারলিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ডেকে এনে জিকু ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি মোড়ের নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেল থেকে জিকুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে জিকুর ২০১৮ সালে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। জিকু তাকে বলেছিলেন, তার চাকরি হলে তারা বিয়ে করবেন।
এতিম ওই তরুণী পালক বাবা-মা’র কাছে বড় হন বলে জানায় পুলিশ।
গত বছর জিকু বেসরকারি ব্যাংকটিতে চাকরি পেলেও বিয়েতে গড়িমসি করে বলে তরুণীর অভিযোগ।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, জিকু চট্টগ্রামে পরিবারের পছন্দে আরেকটি বিয়ে করার শর্তও দিয়েছিল। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি জিকুর কাছ থেকে সরে আসেন এবং গত মার্চে অন্য একজনকে বিয়েও করেন।
বিয়ের কথা জেনে জিকু আবার যোগাযোগ করার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। নইলে তাদের পুরনো ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর হুমকিও দেন।
এসব জানিয়ে কয়েক আগে ওই তরুণী থানায় মৌখিক অভিযোগও করেন।
ওসি নেজাম বলেন, “গত বৃহস্পতিবার জিকু ওই তরুণীকে মেসেজ দিয়ে আজকে (রোববার) দেখা করতে বলে। কিন্তু ওই তরুণী রাজি না হওয়ায় তার ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে পুনরায় হুমকি দেয়।
“তার কথায় রাজি হয়ে ওই তরুণী সকালে কোতোয়ালি মোড়ে পুরানো ছবিগুলো ফেরৎ নেওয়ার জন্য আসে। এসময় জিকু তাকে নিউ মেঘনা হোটেলে বসে কিছুক্ষণ কথা বলে ছবি ফেরৎ দেওয়ার কথা জানায়। তাতে রাজি হয়ে ওই তরুণী সেখানে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জিকু। এসময় তরুণীর চিৎকারে হোটেলের কর্মচারীরা এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।”
তখন পুলিশ গিয়ে জিকুকে গ্রেপ্তার করে। ওই তরুণী জিকুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি নেজাম।