সোমবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ওসি (প্রসিকিউশন) হুমায়ন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনটি মামলার প্রত্যেকটিতে তিন দিন করে মোট নয় দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ হয়েছে। প্রতি মামলায় আলাদাভাবে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
মুফতি হারুন ইজহারের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনটি মামলার মধ্যে দুটি হাটাহাজারী থানায় পুলিশের করা মামলা। আর অন্য মামলাটির বাদী হেফাজতে ইসলামের নেতা মঈনুদ্দিন রুহী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেছিলেন।
ভার্চুয়াল শুনানিতে কারাগার থেকে আসামি হারুন ইজহার উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়ে যায়।
এছাড়া হাটহাজারী থানায় মার্চের সহিংসতার ঘটনায় হওয়া অন্য আরও দুটি মামলায় সিআইডি আবেদনে হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও জানান তার আইনজীবী সাত্তার।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে হাটহাজারীতে ও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে যে নাশকতা হয়েছে, তাতে ‘প্রত্যক্ষভাবে মদদ’ দেন হারুন ইজহার।
হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে আগের ১৮টি মামলা ছিল। গত সপ্তাহের গ্রেপ্তারের পর হাটহাজারী থানার তিন মামলায় তাকে রিমান্ডে পেল পুলিশ। গ্রেপ্তার দেখানো হলো সিআইডির তদন্তাধীন আরও দুই মামলায়। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট মামলা এখন ২২টি।
হারুন বিন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে এবং চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রসার সহকারী পরিচালক।
হারুনের বাবা মুফতি ইজহার চট্টগ্রামের ওই মাদ্রাসার পরিচালক। তিনি এক সময় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত বছরের নভেম্বরে করা কমিটিতে ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীর ঠাঁই না হলেও পদ পান হারুন ইজহার।
এই সংক্রান্ত খবর