শিগগির গণপরিবহন চালুর ঘোষণা চট্টগ্রামের মালিকদের

দুয়েকদিনের মধ্যে সরকারের অনুমতি না পেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেরা সড়কে গণপরিবহন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের পরিবহন মালিকরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2021, 11:12 AM
Updated : 2 May 2021, 11:37 AM

রোববার চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এটিসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে ‘চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ’।

সংগঠনটির মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, লকডাউনে সবকিছু খোলা। রাস্তায় দোকানপাটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। বেশি ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অন্য সব পরিবহনও চলাচল করছে। শুধু গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

“অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের জন্য শুধু একমাত্র বাস ও চেয়ার কোচগুলো দায়ী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুয়েকদিনের মধ্যে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া না হলে নিজ উদ্যোগে সড়কে গণপরিবহন চালাতে বাধ্য হব।”

লিখিত বক্তব্যে পরিবহন মালিক নেতা মঞ্জু বলেন, বর্তমান সময়ে সারাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা মহাসংকটে এবং ধ্বংসের মুখে পড়েছে। লকডাউন কিংবা গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবহনের প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বন্ধ থাকে না। 

বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের প্রধান ও শাখা কার্যালয়ের ভাড়া, কর্মচারিদের বেতন ইত্যাদি মালিকের কাঁধের ওপর চড়ে বসে। আবার পরিবহন শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে।

মঞ্জুর দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত দেয়া হলে মালিকরা দুই ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়। একদিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আর অন্যদিকে ব্যবসায়িক ক্ষতিতেও পড়তে হয় পরিবহন মালিকদের।

উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখান, দুই সিটে যে ভাড়া আদায় করা হয় সেখানে দুই সিটে এক জন করে যাত্রী পরিবহনের জন্য বলা হলে তাদের আয়ও কমে যায় ৪০ শতাংশ।

আবার প্রতি যাত্রীতে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিতে হলে তা যাত্রীদের ওপর চাপও সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে পরিবহন মালিক নেতা মঞ্জু জানান, রাস্তায় গাড়ি নামাতে হলে প্রতিটি গাড়ির জন্য সরকারকে বিভিন্ন খাতে মোট ২৩ হাজার ১০০টাকা অগ্রিম ট্যাক্স দিতে হয়। 

“পরিবহন খাতে সরকার বছরে হাজার কোটি টাকা অগ্রীম ট্যাক্স প্রদানের পরও এ খাতে কোন ধরনের ভুর্তকি কিংবা সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে না। কিন্তু পোশাক ও অন্যান্য শিল্পকে রক্ষার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবিও তুলে ধরেন মহাসচিব মঞ্জু। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

বিনা সুদে পরিবহন মালিকদের ঋণ প্রদান, করোনাকালীন এক বছর সময়ে ব্যংক ঋণ ও কিস্তির সুদ মওকুফ, কিস্তির টাকা আদায়ে হয়রানি ও মামলা প্রদান বন্ধ, করোনা মহামারীর সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদের সময় বাড়ানো ও পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।