সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাঁচলাইশ থানাধীন মোহাম্মদপুর সুলতান কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা ছিল। এর জের ধরে একপক্ষ বাইরে থেকে এসে ওই কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে।”
নিহত কিশোর হলেন রফিকুল ইসলাম (১৬)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া জানান, ছুরিকাঘাত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিহত ও গ্রেপ্তার সবাই নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান। বয়সে কিশোর হলেও তারা মুরাদপুর এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সন্ধ্যায় কাজের শেষে ওই এলাকায় বসে গল্প-গুজব করে।
কিছু দিন আগে এক কিশোর তার মোবাইল চুরির কথা জানিয়ে রফিকুলকে দায়ী করে। রফিকুল পাল্টা তাকে আরেকজনের মোবাইল চুরির জন্য দোষারোপ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারিও হয়েছিল।
ওসি আবুল কাশেম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় রফিকুল ও তার মামাত ভাই ইমন বসে সুলতান কলোনিতে গল্প করছিল। এসময় হামলাকারী কিশোর দলবল নিয়ে ইমনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। রফিকুল বাধা দিলে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে।
ছুরিকাঘাতের পর স্থানীয় লোকজন হামলাকারী কিশোরকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার সঙ্গী অন্য কিশোররা পালিয়ে যায়।
পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি।
এই ঘটনায় নিহত রফিকুলের মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার পাঁচ কিশোরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।
গ্রেপ্তার কিশোরদের আদালতের মধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কাশেম ভূঁইয়া।