ঘটনার প্রায় এক মাস পর হাটহাজারী থানা পুলিশ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলাগুলো করলেও হেফাজতের কমিটি বিলুপ্তির পর সোমবার তা জানাজানি হয়।
তিন মামলার দুটিতে হেফাজতে ইসলামের জুনাইদ বাবুনগরীকে এবং একটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর হেলালউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জাকির হোসেন খান।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি কিংবা কোনো কর্মকর্তাই কথা বলছেন না।
এদিকে পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, হাটহাজারী থানার কনস্টেবল মো. সোলাইয়মান বাদী হয়ে করা মামলায় আসামির তালিকায় জুনায়েদ বাবুনগরী, মীর ইদ্রিসসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যেখানে অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে দুইশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানার পরিদর্শক আমির হোসেনের করা মামলায় বাবুনগরীসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এসআই হারুনর রশিদের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর হেলালকে। এ মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আড়াই থেকে তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে ২৬ ডিসেম্বর হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল করে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
এ ঘটনায় ৩০ মার্চ হাটহাজারী থানায় ছয়টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছিল। আর উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়।
তখন চট্টগ্রামের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জেও সহিংসতা হয়েছে।
ওই সব ঘটনার মামলায় পুলিশ অর্ধ শতাধিক মামলা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে হেফাজতের ডজনখানেক কেন্দ্রীয় নেতাকে।
এনিয়ে চাপে থাকার মধ্যে রোববার রাতে দলটির আমির জুনাইদ বাবুনগরী হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন।