বাঁশখালী গিয়ে ‘বিচারবিভাগীয় তদন্ত’ চাইলেন জাফরুল্লাহ

বাঁশখালীর গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভে ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ গুলি করা হয়েছিল অভিযোগ করে এর ‘বিচারবিভাগীয় তদন্ত’ দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 03:50 PM
Updated : 4 May 2021, 07:08 AM

এক সপ্তাহ আগে ওই বিক্ষোভের ঘটনায় নিহত শ্রমিক মাহমুদ রেজার বাড়িতে গিয়ে রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে এ দাবি জানান তিনি।

গণ্ডামারার পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় মাহমুদ রেজার বাড়িতে গিয়ে তার মা, ভাই ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাফরুল্লাহ।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক হাসনাত কাইউম এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

গত ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ওই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকদের ভাষ্য, বকেয়া বেতন ও রোজায় কাজের সময় পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে সেদিন সেখানে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

তবে পুলিশ সেদিন ‘ভীত’ অবস্থায় ছিল এবং ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ তারা গুলি চালিয়েছিল দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “সবচেয়ে বড় দুঃখজনক, পুলিশকে যেটা জিজ্ঞেস করেছিলাম, তারা অজান্তে একটা কথা বলেছেন, যে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের হুকুম ছিল না।

“ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে ঠিক পাশে দেখা যায় নাই। অথবা হুকুম দেয় নাই। ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছাড়া পুলিশ কখনো গুলি করতে পারে না। এটার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।”

ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, “জানাজা পড়ার টাকাটা না, ন্যূনতম দাবি হবে একজন শ্রমিকের জন্য ৫০ লাখ টাকা। ১৮ বছরের যে শ্রমিক তার ৪০ বছরের কর্মজীবন বাকি ছিল। তাদের যে মা, পরিবার আছে, তাদের পরিবারকে আজীবন সরকারের দেখাশোনা করা দরকার।”

পুরনো খবর