করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর লকডাউনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসম জামশেদ খোন্দকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবে না।”
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমুখ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোন।
এই জোনের অধীনে বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড ও কর্ণফুলী থানা এলাকায় লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিক, রিকশা চালক ও অটোরিকশা চালক, দিনমজুর, বন্ধ হওয়া কারখানার শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্ররা এ উদ্যোগের অধীনে খাদ্য সামগ্রীপাচ্ছেন।
পুলিশের দেওয়া সামগ্রির মধ্যে আছে- চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, লবণ, সয়াবিন তেল, ছোলা ও সাবান।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ধাপে ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এবার আরও ছয় হাজার পরিবারকে দেয়া হবে।
তালিকা অনুসারে প্রতি রাতে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রি পৌঁছে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, শুরুতে বন্দর জোনের পুলিশ সদস্যরা তহবিল গঠন করে খাদ্য সামগ্রী কিনতে শুরু করে। পরে বিত্তবানরা যোগাযোগ করে নানা রকম খাদ্য সামগ্রী কিনে দিচ্ছেন।