রোববার শাপলা আবাসিক এলাকার শাপলা পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- কালু মিয়া ওরফে রাজু (১৯), সোহেল মিয়া (১৯), মো, দুলাল ওরফে দুলাল বাবুর্চি (৩৭), তারেক আকবর (১৯)।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা ‘সহজ সরল’ তরুণীদের ফোন নম্বর যোগাড় করে।পরে সেই নম্বরে ফোন করে ‘প্রেমের অভিনয়’ করে ফাঁদ পাতে।
“সেই ফাঁদে পা দিলে তরুণীদের আটকে টাকা আদায় করে চক্রটি।”
ওসি নেজাম বলেন, “কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে একই কায়দায় প্রেমের অভিনয় করে কালু। এক সপ্তাহের কথায় গত শুক্রবার দুপুরে কালু ও সোহেল রহমতগঞ্জে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে আসে।
“তারা ওই তরুণীকে তাদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয়নি। পরে তারা জোর করে ওই তরুণীকে একটি অটোরিকশায় তুলে আকবর শাহ এলাকায় নিয়ে যায়।”
ওসি নেজাম জানান, “সেখানে নেয়ার পর কালু ওই তরুণীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। তখন দুলাল সেই দৃশ্য ভিডিও করে আরও কয়েকজনকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে।
পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত উল্লেখ করে ওসি বলেন, “দুলাল ও তার সহযোগীরা কালু ও সোহেলকে বলে তারা ‘অবৈধ’ কাজ করতে সেখানে গিয়েছে। তখন তারা কালু, সোহেল ও ওই তরুণীকে শাপলা আবাসিক মডেল পল্লী এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়।
“সেখানে গিয়ে পরিকল্পনা মাফিক সোহেলকে রুম থেকে বের করে দিয়ে ওই তরুণীর ভাই ও বোনকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এসময় কালু তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করেছে তরুণী।”
ওসি নেজাম জানান, শনিবার রাতে ওই তরুণীর ভাই ও বোন টেলিফোনে বিষয়টি তাকে জানান। পরে থানায় এসে বিস্তারিত জানানোর পর আসামিদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বর দেন ।
“আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি সেটি আকবর শাহ এলাকায়। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একাধিক টিম আকবর শাহ শাপলা আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার এবং ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন, তাদের সাথে আরও চারজন আছে।”
এ ঘটনায় ওই তরুণী আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।