মা মাছের সংখ্যা বাড়াতে হালদায় ছাড়া হয়েছে ১০ মাস বয়সী তিন হাজার পোনা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই কালিবাউশ। এই মাছটি হালদায় এখন খুবই কম।
Published : 01 Apr 2021, 07:19 PM
দক্ষিণ এশিয়ায় কার্প জাতীয় মাছের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা এখন ‘বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ’।
গত বছরের ২২ মে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের দাবি, গতবার রেকর্ড সাড়ে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালদা থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে চার দিন বয়সী রেণু সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে তা গড়দুয়ারা এলাকার একটি মডেল পুকুরে রেখে বড় করা হয়।
“এবার আমরা প্রায় ১০ হাজার পোনা অবমুক্ত করব নদীতে। এবারে বেশ কিছু কালিবাউশের পোনা ছেড়েছি। এই মাছটি গত কয়েক বছরে নদীতে খুব কম চোখে পড়েছে। নদী পাড়ের মৎস্যজীবীরাও জানিয়েছেন কালিবাউশ কমে গেছে। তাই এর সংখ্যা বাড়তে আমরা জোর দিচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার ছাড়া ১০ মাস বয়সী পোনাগুলোর ওজন সাতশ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত। এর মধ্যে কালিবাউশ ছাড়াও রয়েছে রুই, কাতাল ও মৃগেল।
পোনা ছাড়ার সময় গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি এবং হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাটহাজারী উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি বলেন, “মৎস্য অধিদপ্তরও কয়েক বছর ধরে হালদায় পোনা ছাড়ছে। সরকারি হ্যাচারিতে বড় করা পোনা শনিবার মদুনাঘাট এলাকায় আমরা ছাড়ব।”
নাজমুল হুদা রনি জানান, হালদায় মাছের আনাগোনা ইতিমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। ভাটার সময় প্রচুর মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি বজ্রসহ বৃষ্টি হলে সেসময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে, ধারণা করছেন এই মৎস্য কর্মকর্তার।