হাটহাজারি ও পটিয়া থানায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে এসব মামলা করা হয়।
এর মধ্যে হাটহাজারি থানায় ছয়টি ও পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
“পাশাপাশি পটিয়া থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।”
পটিয়া থানার মামলায় অজ্ঞাত সাত থেকে আটশ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।
আর হাটহাজারির ছয় মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক লোককে আসামি করা হয়েছে।
হাটহাজারি বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে বের হওয়া এ মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় হাটহাজারি থানায়।
পাশাপাশি হেফাজত ইসলাম কর্মীরা হাটহাজারি উপজেলা ভূমি অফিস ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। সংঘাতের সময় গুলিতে নিহত হয় চারজন।
আর পটিয়া মাদ্রাসা থেকে বের হওয়া মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়েছিল পটিয়া থানায়।
ভূমি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ
হেফাজতের দেওয়া আগুনে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্যাহ।
তিনি বলেন, তার কার্যালয়ে হামলার পাশাপাশি সরকারি গাড়িতেও আগুন লাগানো হয়েছে। যেটা পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়েছে।
“সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে থাকা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে খাস জমির রেজিস্ট্রার, খাজনা বই, খতিয়ানসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আছে।”
সহকারী কমিশনার শরীফ বলেন, “যেসব নথিপত্র জ্বালিয়ে দেওয়া সেগুলোর কিছু নতুন করে সংগ্রহ করা গেলেও কিছু কিছু নথিপত্র আর সংগ্রহ করা যাবে না। যার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ জনগণ।”
তিনি জানান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা তার ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার নিরুপণ চলছে।