কোকেনকাণ্ড: শেষ হল ১৪ জনের সাক্ষ্য

তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2021, 03:01 PM
Updated : 18 March 2021, 03:01 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁইয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জহির এবং মো. মাহতাব উদ্দিন।

এ দু’জন একটি বেসরকারি শিপিং প্রতিষ্ঠানের সেসময়ের কর্মকর্তা। তারা জব্দ তালিকার সাক্ষী।

মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঘটনার পর মামলার সেসময়ের তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এই দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার আসার ইমেইল এবং বিল অব লোডিং জব্দ করেছিলেন।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিলেন।

২৪ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে বলে জানান আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে ১৪ মার্চ দু’জন এবং ৩ মার্চ তিনজন এ মামলায় আদালতে সাক্ষী দেন। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২১ মাস পর এই মামলায় আবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন জব্দ তালিকার তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে মামলাটিতে চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ থেকে ২২ মে পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া, নূর মোহাম্মদের ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ জামিনে গিয়ে পলাতক হয়েছেন। তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ শুরু থেকেই পলাতক। যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান এবং বকুল মিয়াকেও পলাতক দেখানো হয়েছে।

কারাগারে আছেন গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমান। বাকি চার আসামি জামিনে আছেন।

মামলায় র‌্যাবের সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই ১০ জনকেই আসামি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন-