কোকেনকাণ্ড: সাক্ষ্য দিলেন আরও দুইজন

প্রায় ছয় বছর আগে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2021, 01:51 PM
Updated : 14 March 2021, 01:57 PM

রোববার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন চট্টগ্রাম বন্দরের পার্সোনাল অফিসার আলতাফ হোসেন এবং জব্দ তালিকার আরেক সাক্ষী একটি বেসরকারি শিপিং লাইনের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন খান।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যের দিন ধার্য করেছে আদালত। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ জন সাক্ষী দিলেন।”

রোববারের সাক্ষীদের মধ্যে আলতাফ হোসেনের সামনে কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ এবং পরে সিলগালা করা হয়।

অন্য সাক্ষী রিয়াজ উদ্দিন খানের উপস্থিতিতে মামলায় সম্পর্কিত দুই ব্যক্তির সঙ্গে আসামিদের বিনিময় করা ইমেইল, ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য নথি জব্দ করা হয়েছিল।

এর আগে ৩ মার্চ এ মামলায় আরও তিনজন সাক্ষী দেন। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২১ মাস পর এই মামলায় আবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন জব্দ তালিকার তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে মামলাটিতে চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ থেকে ২২ মে পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-  চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া, নূর মোহাম্মদের ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ জামিনে গিয়ে পলাতক হয়েছেন। তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ শুরু থেকেই পলাতক। যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান এবং বকুল মিয়াকেও পলাতক দেখানো হয়েছে।

কারাগারে আছেন গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমান। বাকি চার আসামি জামিনে আছেন।

মামলায় র‌্যাবের সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই ১০ জনকেই আসামি করা হয়েছিল।