চবির ‍উপাচার্য পদে থাকছেন শিরীণ আখতার

শিক্ষক হিসেবে চাকরির মেয়াদপূর্তির পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপাচার্য পদে শিরীণ আখতারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2021, 01:44 PM
Updated : 9 March 2021, 01:44 PM

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে তার মূল কর্মস্থল বাংলা বিভাগে প্রত্যাবর্তনপূর্বক একই দিন অপরাহ্নে ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদানের অনুমতি প্রদান করা হলো।”

ওই আদেশে শিরীণ আখতারের অনুপস্থিতিতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মোহাম্মদ মহীবুল আজিজকে নিজ দ্বায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে নিয়মিত চাকরির বর্ষপূর্তিতে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিতা সম্পন্ন করার পর উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাকরির মেয়াদপূর্তিতে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে (পিএলআর) থাকেন।

প্রক্টর রবিউল বলেন, “যেহেতু তিনি অবসরে যাচ্ছেন না তাই তিনি পিএলআরে যাবেন না। শুধু বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কিছু সময়ের জন্য বিভাগে যোগ দেবেন। সেদিন বিকাল থেকেই তিনি আবার উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।”

২০১৯ সালের ১৩ জুন থেকে উপ-উপাচার্য পদে থাকা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিরীণ আখতার উপচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের দায়িত্ব পান। তিনিই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।

১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০০৬ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।

শিরীণ আখতার কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি, ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম সরকারি গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮১ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।

তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।