ওই বন্দি কারাগারের ভেতরেই রয়েছে কি না, তা খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশির মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই সন্দেহের কথা তিনি জানান।
ছগীর মিয়া সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হচ্ছে কিছু একটা যাচ্ছে।
“ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে, ওই হাজতি (ফাঁসির সেলের ওপরের) দেয়াল টপকে পালিয়ে যেতে পারে। তবে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) নিশ্চিত হতে পারব।”
কারাগারের যত সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটির প্রধান ছগীর মিয়া বিকালে বলেছিলেন, “একটি সিসি টিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে সে ৫টা ১৬ মিনিটে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হেঁটে নিচে নামছে। কিন্তু কোন দিকে সে গেছে, সেটা আর শনাক্ত করা যায়নি।”
খুনের মামলার আসামি গত শনিবার থেকে নিখোঁজ বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়। সেদিন প্রথমে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে রাতে মামলা করা হয়।
হাজতি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তদন্তে খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগীর মিয়ার নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা সোমবারই কাজ শুরু করেছে।
রুবেল কারাগারের ভেতরেই কোথাও রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিসকে দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তল্লাশি শুরুর পর ছগীর মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ ‘ম্যানুয়ালি’ বলেছে, ওই হাজতি ‘মিসিং’ আছে। এই মিসিং দুইভাবে হতে পারে ‘জীবিত’ কিংবা ‘মৃত’ অবস্থায়। হয়ত দেখা গেল সে পালাতে গিয়ে কারা অভ্যন্তরে কোথাও আটকে আছে। সেটা দেখার মতো লজিস্টিক সাপোর্ট কারাগারে নেই। সেজন্যই মূলত ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।”
কারা অভ্যন্তরে ওই হাজতি নেই বলে নিশ্চিত হলেই তিনি কীভাবে পালালেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছিলেন তদন্ত কমিটির প্রধান।
তদন্ত কমিটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন এবং বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদও রয়েছেন।
হাজতি ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে প্রত্যাহার এবং দুই কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে; পাশাপাশি একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আরও খবর