পাশাপাশি এক জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ; ঘটনা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ও ডেপুটি জেলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে জেলার রফিকুল ইসলামকে কারা অধিদপ্তরে এবং ডেপুটি জেলার আবু সাদাতকে চট্টগ্রাম বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. ইউনুস নামে দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি কামাল হায়দার নামে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
হাজতি ‘নিখোঁজের’ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগির মিয়াকে প্রধান করে করা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কারা মহাপরির্দশক মামুন জানিয়েছেন।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছগির মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে শুনেছি। অফিসিয়াল অর্ডার হাতে পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।”
এক খুনের মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেল নামের এক আসামি শনিবার সকাল থেকে ‘নিখোঁজ’ জানিয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে রাতে একটি মামলাও দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রুবেল কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের পঞ্চম তলায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন। ভোর সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে তিনি ওয়ার্ড থেকে ‘বের হয়ে যান’।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন রুবেল।
চট্টগ্রামে গত ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে এক ব্যক্তিকে বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যার মামলায় ডবলমিুরিং থানার মিস্ত্রি পাড়া থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে সদরঘাট থানা পুলিশ।