লাশের পাশে থাকা ‘সুইসাইড নোট’ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নাইমুর রহমান নামে এ শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগের ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের সোনাইপুড়ে নিজ বাড়িতে তার লাশ পাওয়া যায়।
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এক বছর ধরে নাইমুর বাড়িতেই ছিলেন বলে জানান তার ছোট ভাই মেহেদি হাসান শাওন।
‘বিষণ্নতা’ থেকে নাইমুর আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তার সহপাঠীদের।
শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গভীর রাতে ঘরে নাইমুর একটি ‘সুইসাইড নোট’ লিখে আত্মহত্যা করেন।
“ওই সুইসাইড নোটে বাবা-মা’র কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখেছে, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা নেই, তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।”
নোটের শেষে ‘বিদায়’ উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “এই দুনিয়া আমার জন্য নয়। সবাই পারলে আমাকে মাফ করে দিবেন।”
রামগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাইমুর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ইতোপূর্বে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেন বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহানারা বেগম জানান, নাইমুর আত্মহত্যা করছে এমন খবর তারা জেনেছেন।