ডাকাতি-হত্যায় চট্টগ্রামে চারজনের ফাঁসির রায়

চট্টগ্রামের রৌফাবাদে পাঁচ বছর আগে ডাকাতির সময় এক নারীকে হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2021, 08:46 AM
Updated : 3 March 2021, 08:46 AM

চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলম ভুঁইয়া বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামি হলেন- মো. ইয়াছিন, মনসুর, আবু তৈয়ব ও মো. ইছহাক। তাদের মধ্যে ইয়াছিনকে রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি তিন আসামি পলাতক।

এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি নোমান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহত নারীর স্বামী ‘হত্যা ও দস্যুতার অভিযোগে’ এ মামলা করেছিলেন।

এর মধ্যে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দস্যুতার ধারায় (৩৯৪ ধারা) আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির জনাবা ভিলার তৃতীয় তলার বাসায় পারভিন আকতার নামের ওই নারীকে হত্যা করা হয়।

পারভিন আক্তারের ছেলে নূর মোহাম্মদ সাঈদকে পড়িয়ে গৃহ শিক্ষক চলে যাওয়ার সময় বাসার দরজা খোলা হলে অপরিচিত এক ব্যক্তি দরজায় এসে দাঁড়ান। এরপর আরো তিনজন জোর করে ঘরে ঢোকেন।  

ওই বাসায় প্রবেশের পর চারজন মিলে পারভিন ও তার ছেলেকে আটকে ফেলে। সাঈদকে গলাটিপে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে তিন ভরী স্বর্ণালঙ্কার, সাত হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

এজাহারে বলা হয়, ডাকাতির সময় চিৎকার করতে গেলে পারভিনের মুখ চেপে ধরে মেঝেতে উপুড় করে চেপে ধরে আসামিরা। এতে শ্বাসরোধে পারভিনের মৃত্যু হয়।

পারভিনের স্বামী নুরুল আলম বাদী হয়ে পরদিন দস্যুতা ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১৩ জুন পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৭ সালের ৫ মার্চ।

মামলার আসামিরা ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পায় এবং তিনজন পালিয়ে যায় বলে জানান অতিরিক্ত পিপি নোমান চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বুধবার আসামিদের চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।