মঙ্গলবার নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, যেসকল দখলদার নালা-খালের উপর অবৈধ স্থপনা তৈরি করেছে তারা যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন তাদের তিল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
নগরীতে বহুতল ভবন নির্মাতাদের পাইলিংয়ের মাটিসহ তরল বর্জ্য নালা- খালে ফেলে পানিপ্রবাহ পথ ভরাট করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এরা বিবেক বর্জিত দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তাদের কারণেই নালা-নর্দমা-খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদের আইনের আওতায় এনে জরিমানাসহ বিধিবদ্ধ শাস্তিভোগ করতে হবে।”
নগরীর ফুটপাথ থেকে হকারদের উচ্ছেদের পরও তা আবার বেদখল হয় কেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ধীরে সুস্থে এই সমস্যার পরিকল্পিত সমাধান নিশ্চিত করা হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রশ্নে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে রেজাউল বলেন, এ প্রকল্পের ৪০ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে চাক্তাইসহ বিভিন্ন খালে কিছু স্থানে বাঁধ দেওয়ায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য বর্ষা মৌসুমে ওভার-ফ্লো হতে পারে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের খালের যে অংশে বাঁধ দেয়া হয়েছে সেখানে পানি চলাচলের জন্য বিকল্প পথ তৈরির পরামর্শ দেন তিন।
মেয়রের প্রতিশ্রুত ১০০দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মানসম্পন্ন সরঞ্জাম, সামগ্রী ক্রয় ও সংগ্রহ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও কাজ করতে আন্তরিক। আমরা শতভাগ না পারলেও সিংহভাগ সচল হতে চাই।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঠিকাদারদের কাজ যাচাই-বাছাই করার জন্য করতে কাউন্সিলরদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কাজের মান নিয়ে কাউন্সিলরদের সম্মতি মন্তব্য ছাড়া ঠিকাদাররা বিল পাবেন না।
চসিকের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এবং প্রকৌশল বিাঘের প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডেও কাউন্সিলররা ছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলি ফজলুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদিনসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।