রোববার একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রীয়ভাবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ভোর থেকে প্রভাত ফেরি করে বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলররা।
পরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি কমিশনার আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
রোববার ভোর থেকে শহীদ মিনারের পথে হাজারো মানুষের ঢল নামে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে পুলিশের পক্ষে প্রতি সংগঠনের পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে নিষেধ করা হলেও হাজারো মানুষের ভিড়ে তা মান যায়নি।
বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের মিছিলে নারী-পুরুষ, শিশু সবাই এক হয়ে গিয়েছিলেন শহীদ মিনারে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরাও শহীদ মিনারে এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জীও সকালে শহীদ মিনারে ফুল দেন।
যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয় শহীদ মিনারে।
একুশে ফেব্রুয়ারির সকালে ব্যতিক্রমী ‘বর্ণমালা মিছিল’ বের করে ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, ছাত্র মৈত্রী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন রোববার আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে।