সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিআইডির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
সোমবার শুনানির সময় মোহাম্মদ সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়।
নগরীর ডবলমুরিং থানায় গত বছরের ১৩ জুলাই ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলাটি করা হয়।
ঢাকায় রুট পারমিট নিয়ে দেওয়ার কথা বলে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মার্টের কাছ থেকে সাহেদ ওই টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
মামলায় বলা হয়, মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি হুইলার্স যানবাহনের ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ ও তার সহযোগী শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নগদে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগদে ৩২ লাখ টাকা এবং সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকার উত্তরা অ্যাভিনিউ গেইট শাখার মাধ্যমে বাকি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা করা হয়।
জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের প্রতিষ্ঠান ‘মেগা মোটরস’র ১৭টি সিএনজি অটোরিকশার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০১৬ সালে আটক করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এসব অটোরিকশা ছাড়িয়ে নিতে সাহেদ চট্টগ্রামে এসে অভিযানকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকিও দেন।
ওই সব অটোরিকশাসহ আরও ২০০ অটোরিকশার ঢাকায় রুট পারমিট নিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাহেদ মেগা মার্টের মালিক জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
চট্টগ্রামের এই প্রতারণা মামলায় গত বছরের ১১ অক্টোবর তাকে রিমান্ডেও পেয়েছিল পুলিশ।
আরও খবর-