চন্দনাইশে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ১ নম্বর উত্তর গাছবাড়িয়া ওয়ার্ডের জোয়ারা হিন্দু পাড়া এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2021, 02:14 PM
Updated : 12 Feb 2021, 02:14 PM

দুজনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তারা পরস্পর পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন।

চন্দনাইশ পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। ১ নম্বর উত্তর গাছবাড়িয়া ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর অজয় দত্ত। তিনি গাছবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আরেক প্রার্থী সুজন সরকার পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।

চন্দনাইশন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজনু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী অজয় দত্ত ও সুজন সরকারের লোকজনের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

“কয়েকজন আহত আছে। তবে বাড়ি ভাঙচুরের কোনো খবর পাইনি।”

তবে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চন্দনাইশ থানায় কোনো মামলা হয়নি।

শুক্রবার দুপুরে জোয়ারা হিন্দু পাড়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী অজয় দত্ত নিজ বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় প্রচারণায় বের হন। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুজন সরকার ও তার অনুসারীরা সেখানে মিছিল নিয়ে যায়।

অজয় দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাড়ির পাশে গ্রামের নারীদের নিয়ে প্রচারণায় বের হলে সুজন সরকারের লোকজন মিছিল নিয়ে আমাদের গ্রামে আসে। এসময় তারা এলডিপি ও বিএনপির লোকজন নিয়ে আমার প্রচারণায় হামলা চালায়। আমাদের নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫ জন আহত হয়েছে।

“তাদের চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়। আহতরা চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।”

হামলায় আহত অজয় দত্তের অনুসারী অনিল কান্তি দত্ত রাজু বলেন, “বহিরাগত এলডিপির লোকজন নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে হামলা চালানো হয়। আমার পায়ে ছুরি মারে। আমার বাবাকেও আহত করে। বিজিসি ট্রাস্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।

“কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এমনকি রাতে গ্রামের লোকদের বাড়িতে না থাকতেও হুমকি দিয়েছে।”

হামলার অভিযোগকে ‘মিথ্যা অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে সুজন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতদিন আমাদের উত্যক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অপপ্রচার চালিয়েছে। তাদের গণসংযোগ ছিল বিকেলে, তারা হুট করে বাজে পরিস্থিতি তৈরির জন্য এটা করেছে। অথচ বিকেলেও তাদের শিডিউল মোতাবেক মিছিল করেছে। এলাকায় আমার অবস্থান দেখে এই পায়তারা।

“১১টার দিকে আমাদের গণসংযোগে বর্তমান কাউন্সিলর অজয় দত্তের লোকজন পরিকল্পিত হামলা করেছে। আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছে। একজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।

অজয় দত্তের বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন সরকার বলেন, “শুনেছি, বাড়ির নাকি জানালার আয়না ভেঙেছে। যতটুকু জানি উনার পাকা বাড়ি নেই।”