ওই ছাত্রের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. উমর ফারুক ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন (৪৩) কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার সহযোগী মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে।
নির্বাহী হাকিম উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন জামাল উদ্দিন ও মোজাম্মেল।
“এর মধ্যে জামাল উদ্দিন ওই ছাত্রের মায়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। মোজাম্মেল নেয় ছয় হাজার টাকা। তারা ওই ছাত্রের মাকে একটি কাগজ দেয়, তাতে স্কুলের ভর্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লেখা ছিল। ওই কাগজে জেলা প্রশাসকের জাল সই-সিল দেওয়া হয়।”
কাগজটি নিয়ে ওই ছাত্রটির মা স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তখন তাকে জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করতে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী হাকিম বলেন, “তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলে প্রতারণার বিষয়টি জানা যায়। এরপর ওই ছাত্রের মা জামাল উদ্দিনকে টেলিফোন করে ডেকে আনেন। জামাল উদ্দিন প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।”
উমর ফারুক বলেন, মোজাম্মেল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তার বলেও পরিচয় দিয়েছেন বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন। পলাতক হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।