ইভিএমে ভোটেও ১০ ঘণ্টা পর ফল

বিএনপির প্রবল আপত্তির মুখে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্রুত ফল প্রকাশকে অন্যতম সুবিধা হিসেবে নির্বাচন কমিশন দেখিয়ে এলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা দেখা যায়নি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 07:44 PM
Updated : 27 Jan 2021, 07:44 PM

বুধবার চট্টগ্রামের এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করতে প্রায় ১০ ঘণ্টা লেগে যায়।

বেলা ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ; আর পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হয় মধ্যরাত পেরিয়ে পৌনে ২টায়।

১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রের সবক’টিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।

প্রতিটি ভোট কক্ষে যে ইভিএম যন্ত্র থাকে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ফল পাওয়া যায়। ফলে একটি কেন্দ্রে যতটি যন্ত্র থাকে, সেগুলোর ভোট যোগ করলেই কেন্দ্রের ফল আসে। এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রের ফল যোগ করার পর আসে পূর্ণাঙ্গ ফল।

ভোট গ্রহণের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেছিলেন, ভোটের ফল ঘোষণায় বেশি সময় লাগবে না।

এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম যন্ত্রে গোলযোগ দেখা গেলেও চট্টগ্রামে তেমনটি ঘটেনি। তারপরও ব্যালট পেপারে ভোটের মতোই সময় লাগল ইভিএমের এই ভোটে।

ভোটগ্রহণের পর সাড়ে আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও যখন পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন তার কারণ জানতে চেয়েছিলেন সংবাদকর্মীরা।

তার উত্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আমরা সফল। কিন্তু নির্ভুলভাবে ফল দিতে সময় লাগছে।”

‘নির্ভুল’ প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে হাসানুজ্জামান ব্যাখ্যা দেন এভাবে- “ইভিএমে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা নির্ভুলভাবে দিতে আবারও ম্যানুয়ালি যোগ-বিয়োগ করে কম্পিউটারে দিচ্ছে। তাই সময় বেশি লাগছে।”

মহামারীর বাধা আর সংঘাত-সহিংসতা পেরিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন বন্দরনগরীর বাসিন্দারা। ছবি: সুমন বাবু

ইভিএমে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ না থাকার কথা বলা হলেও ভোটকক্ষে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি অবস্থান করে ভোট দিয়ে দেওয়ার ঘটনা চট্টগ্রামেও ঘটেছে।

১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রের ভোটার সাদিয়া বেগম ঝিনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রে প্রবেশের পর দেখি বুথের মধ্যে আরেকজন দাঁড়িয়ে আছে। আমি ভোট দেওয়ার আগেই সেই ব্যক্তি আমার ভোটটি দিয়ে দেয়।”

লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে একই পরিস্থিতির মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন আরেক নারী ভোটার।

এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি ২০১০ সালে বাংলাদেশে যন্ত্রে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি তথা ইভিএম চালু করে।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন এর পরের ইসি ইভিএম নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। তবে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি শুরু থেকেই ইভিএমে আগ্রহী।