সিসিসি নির্বাচন: লালখান বাজারে সংঘর্ষে তিন পক্ষ, আহত ২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 27 Jan 2021 11:23 AM BdST Updated: 27 Jan 2021 01:31 PM BdST
চট্টগ্রাম সিটি ভোটের দিন সকালে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল থেকে সেখানে দফায় দফায় এই তিন পক্ষের সংঘর্ষে ২১ জন আহত হয়েছে বলে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর দাবি।
বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ওই ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলো ‘দখল’ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন। আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর দাবি, তার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়েছে বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে।
১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ভোটে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর এফ কবির মানিক।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি দিদারুল আলম মাসুম দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এই ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন আবদুল হালিম শাহ আলম।
সংঘর্ষের বিষয়ে আবুল হাসনাত বেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার অনুসারীদের ওপর বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে পুলিশ লাইন কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। সেখানে আমার চারজন কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তারা।

চট্টগ্রাম সিটি ভোটের দিন সকালে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এলাকার চিত্র।
“মাসুম যদি (দিদারুল আলম মাসুম) দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই কাজ করবেন তাহলে তিনি আওয়ামী লীগ করেন কিভাবে,” প্রশ্ন বেলালের।
সকাল নয়টার দিকে শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বেলালের সমর্থকদের সঙ্গে মাসুমের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম বলেন, “আমি এলাকার বাইরে আছি। এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ হয়েছে। তবে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা নেই।”
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হালিম শাহ আলম বলেন, “কোনো কেন্দ্রেই মেয়র ও আমার এজেন্ট ঢুকাতে পারেনি। তারা আমাকেও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি ভোটের দিন সকালে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এলাকার চিত্র।
“যে কয়জন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে ভিতরে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিয়ে দিচ্ছে। আগের ভোটের চেয়েও নির্লজ্জ অবস্থা এবার।”
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে বলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি আবদুল হালিম শাহ আলমের।
সংরক্ষিত-৫ ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, লালখান বাজার ওয়ার্ডসহ তিনটি ওয়ার্ডের মোট ৪৪ কেন্দ্রে তার ৩২০ জন এজেন্টের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
“সকাল থেকে তিন দফায় আমার বাসায় আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করেছে। লালখান বাজার ওয়ার্ড অফিস কেন্দ্রে আমি ভোটার। সেখানেও আমাকে ঢুকতে দেয়নি।”
এদিকে সকাল ১০টার দিকেও লালখান বাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
খুলশী থানার ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
-
সিসিসি মেয়রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতের সাক্ষাৎ
-
আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হলেন মাসুম
-
চট্টগ্রামে সিআরটি ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মহড়া দেখলেন মিলার
-
কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু ঘিরে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
-
অতি উৎসাহীরা নষ্ট করছে ভোটের পরিবেশ: ইসি শাহাদাত
-
ভারতে খেতাব পেলেন চট্টগ্রামের ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া
-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে মুনতাসীর মামুন
-
চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ চায় সরকার: তাজুল
সর্বাধিক পঠিত
- ফেইসবুকে ‘সেক্স টয়’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৬
- সেভিয়া ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খেল বার্সা
- ৩য়-৪র্থ শ্রেণির নিয়োগ পিএসসিকে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
- এশিয়া কাপ পেছানোর ভাবনা
- টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে রোহিত
- নিউ জিল্যান্ডে যেমন কাটছে মিরাজদের সময়
- সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা, জানতে চায় হাই কোর্ট
- মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমাতে গুলি, নিহত অন্তত ১৮
- জাতীয় দলের জন্য ‘প্রস্তুত নন’ নারাইন
- অব্যাহতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব খোকন