চট্টগ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জড়ো করছে বিএনপি-জামায়াত, অভিযোগ আওয়ামী লীগের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2021, 07:12 PM
Updated : 24 Jan 2021, 07:12 PM

ক্ষমতাসীন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন রোববার রাতে বন্দর নগরীর বহদ্দারহাটে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন।

ভোটের তিন দিন সিইসি কে এম নূরুল হুদা এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ জানানোর পর ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে নৌকার মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম ছিলেন না।

কামাল বলেন, “দু’য়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া চট্টগ্রামে নির্বাচনের পরিবেশ এখনও ভালো। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আছে- সেই ভালো পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য যে দলটির পায়ের তলায় যখন মাটি নেই, সাংগঠনিকভাবে যে দলটি শক্তি হারিয়েছে, সেই দল বিএনপির নেতারা এখন তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডার, বিভিন্ন মামলার আসামি যারা অতীতে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, পেট্রোল বোমা মেরেছে, আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, সেসব সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে।

“চট্টগ্রামকে আতঙ্কের শহর বানানোর চেষ্টা করছে। চট্টগ্রামের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা চট্টগ্রামে সকল সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে যাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় এবং তার দায়দায়িত্ব সরকারি দলের উপর দেওয়া যায়।”

আওয়ামী লীগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এত দুর্বল না যে, বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসবে। চট্টগ্রামের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, নৌকার পক্ষে।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।

“জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস আছে বলেই আমরা চাই উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

“আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা ছাড়া কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, মাস্তান দিয়ে কেউ বেশিদিন সমাজে টিকে থাকতে পারে না। অতীতের সামরিক শাসকরাও চিরদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।”

বিএনপির ইভিএমের বিরোধিতার জবাবে তিনি বলেন, “ব্যালটে নির্বাচনে অনেকসময় ত্রুটি হয়, এটা আমরা স্বীকার করি। জোর করে সিল মারা যায়, যেটা অতীতে বিএনপি করেছে। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে সে সুযোগ নেই। এখানে আমার ভোট আরেকজন জোর করে দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার এই আধুনিক পদ্ধতি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে।

“আর বিএনপির প্রার্থী সেই ইভিএমকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। কারণ উনি জানেন নির্বাচনে উনি হেরে যাবেন। মানুষ উনার দল বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড ভুলে যায়নি।”

তিনি বিএনপির ‘ষড়যন্ত্র’ সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য চট্টগ্রামবাসী ও প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি এম এ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।