নির্বাচনী সংঘাত: তিন মামলায় আসামি বিএনপির শতাধিক কর্মী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ঘিরে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘাতের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে, যেগুলোতে আসামি করা হয়েছে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2021, 07:41 AM
Updated : 21 Jan 2021, 07:43 AM

এর মধ্যে নগরীর কোতোয়ালী থানায় করা মামলায় ৩৫ জন, বাকলিয়ায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নগরীর নূর আহম্মদ সড়কে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুরের পর বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের সমর্থকরা। সেসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে; কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণও ঘটানো হয়।

ফাইল ছবি

কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল একটি মামলা করেছেন।

“মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

এর আগে একইদিন বিকালে বাকলিয়া থানার বলিরহাটেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুবদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন।

“ইমাম হোসেন সাগর নামের এক ব্যক্তি এই মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন এজাহারভুক্ত আর দুইজন পুলিশের তদন্তে পাওয়া আসামি বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।

এছাড়া পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সময় জোর করে সেখানে ঢুকে হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ফাইল ছবি

আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের কলেজে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলছিল। বুধবার দুপুরে বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগ করে যাওয়ার সময় কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় কলেজ অধ্যক্ষ তাকে প্রশিক্ষণের কথা বললে তিনি চলে যান।

তবে ওই প্রচারণা মিছিলের পেছনে থাকা তার সমর্থকরা জোর করে কলেজে ঢুকে দরজা-জানালা ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।