মাধব দেবনাথ (২৪) নামে ওই যুবককে কয়েকদিন আগে হত্যা করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা।
শনিবার ভোররাতে টেরিবাজার আফিমের গলির একটি ভবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
যে বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাধবের মামাত ভাই পিন্টু দেবনাথের বাড়ি।
পিন্টুসহ ওই বাড়ির ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
মাধব হাজারি গলির একটি স্বর্ণের দোকানের কারিগর ছিলেন।
ওসি মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিজের স্ত্রীর সাথে মাধবের পরকীয়া ছিল বলে সন্দেহ ছিল পিন্টুর। এ নিয়ে মাধবকে বাসায় ডেকে এনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি।”
তিনি বলেন, মাধবকে তিন দিন আগে খুন করে লাশ বাসার খাটের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছিল। লাশের হাত, পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। লাশের দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পিন্টুর বাসায় তার মা, বাবা, স্ত্রী ও আরও দুই ভাই থাকেন। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা জানান, মাধবের বড় ভাই উত্তম দেবনাথ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট করে কাউকে আসামি করা হয়নি।
তবে জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু ও তার দুই ভাই, স্ত্রী ও বাবা-মা কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে আসামি করা হবে বলে জানান তিনি।