সরকারি জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ নয়: সুজন

কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 03:48 PM
Updated : 2 Dec 2020, 03:49 PM

বন্দরনগরীর আলেম-ওলামারা বুধবার টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে প্রশাসকের দপ্তরে দেখা করতে এলে তিনি তাদের এ কথা বলেন।

সুজন বলেন, “ইদানিং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া নগরীতে সরকারি জায়গা-জমি দখল করে যেখানে সেখানে মসজিদ নির্মাণের একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার হীন মানসিকতায় সরকারি ও বিরোধপূর্ণ জায়গায় মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে স্থাপনা গড়ে তোলা আইনত অপরাধ।

“এ ধরনের অবধৈ স্থাপনা অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হলে, ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে কিছু কুচক্রি মহল। তাই দেশের আলেম-ওলামাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনো মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে ফ্যাসাদ ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদের জায়গা ওয়াকফ এস্টেটের অধীনে থাকা সরকারি নিয়ম।”

চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান ও কাজী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, আল আমিন বারীয়া মাদ্রাসার আবদুল আজিজ আনোয়ারী, মাদ্রাসা-ই-ইসলামিয়া তৈয়বিয়া সুন্নিয়া ফাজিলের মোহাম্মদ বদিউল আলম রেজভী, বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার মোহাম্মদ সৈয়দ আবু নোমান, ফতেপুর মনজুরুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসার জামালউদ্দীন, দারুল মারিফ মাদ্রাসার মোহাম্মদ ফোরকানুল্লা খলিল ও আমিনুল ইসলাম এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আলেমগণ বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি দুরভিসন্ধিমূলকভাবে দখলের মানসিকতা নিয়ে সরকারি জায়গা জমিতে কোনো মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ করে, তা অপরাধ।

“মসজিদ, মাদ্রাসার স্থান অবশ্যই ওয়াকফ হওয়া চাই। সরকারি বা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জায়গা ও নালা দখল করে পিসি রোডে মাজার নির্মাণ হয়েছে ও শেরশাহতে যে মাজার নির্মাণ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।”

এদিকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে দেখা করতে গেলে সুজন তাদের বলেন, সংযোগ লাইনের জন্য নগরীর কোনো সড়ক কাটতে হলে আগে সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বয় করতে হবে।

“আবাসিকে ভোগান্তি দূর করে গ্রাহক সেবা নিরবচ্ছিন্ন করতে হবে। নগরীতে যেসব গ্রাহক এখনো ডিমান্ড নোট ইস্যুর পরও সংযোগ পাননি, তা যাতে দ্রুত পায়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

কেজিডিসিএল এর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবঞ্জন বিশ্বাস, জেনারেল ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন, উপ মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আজিজুল হক, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিঙ্গাপুর সমবায় মার্কেটের সামনের রাস্তা ও হালিশহর রোডের ছোটপোল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন।  

রাস্তা, ফুটপাত ও নালার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী রেখে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এ অভিযানে।