কোভিড-১৯: চট্টগ্রামে আইসোলেশন সেন্টারে দুর্নীতির অভিযোগ

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) গড়ে তোলা আইসোলেশন সেন্টারের পূর্ত কাজ ও কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 03:22 PM
Updated : 2 Dec 2020, 03:22 PM

এরইমধ্যে আইসোলেশন সেন্টারের কেনাকাটা সংক্রান্ত নথিও সংগ্রহ করেছে দুদকের তদন্ত দল।

মঙ্গলবার এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ।

তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযানে গিয়ে সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারের পূর্ত কাজ ও কেনাকাটা সংক্রান্ত নথি আমরা সংগ্রহ করেছি।

“সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের সাথে দেখা করেছি। কেনাকাটা ও নির্মাণকাজে জড়িত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়বের সঙ্গেও কথা বলেছি। নথিপত্র পর্যালোচনা ও তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে একটি সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

১৩ জুন ২৫০ শয্যার এই সেন্টারটি চালু করা হয়। ১৪ অগাস্ট বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে সেবা নেন মোট ১২৯ জন। বহির্বিভাগে সেবা নেন ৩০ জন।

এই আইসোলেশন সেন্টারে ১৬ চিকিৎসকসহ ৯৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত ছিলেন। দুই মাসের এই আইসোলেশন সেন্টারে সিসিসির খরচ হয় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

সিসিসি পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটির জন্য আস্বাভাবিক দামে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার অভিযোগ ওঠে।

এরপর অভিযোগ তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিসিসির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া তদন্ত শেষে ৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।