চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে জোর স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকারি সব সেবা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 05:24 PM
Updated : 28 Nov 2020, 05:24 PM

শনিবার চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

স্থানীর সরকারমন্ত্রী বলেন, “সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার এন্ড কমার্সসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যেতে হবে।”

চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে তাজুল বলেন, “মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। মিরসরাই ইকোনমিক জোন হবে এশিয়ার সেরা একটি জোন।

“অনেক দেশ এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এ জোনে পানি সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য পানির সকল উৎসগুলো যাচাই করা হবে।”

মিরসরাই ইকোনমিক জোনের পানির সরবরাহের জন্য হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করলে মৎস্য প্রজনন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাজুল বলেন, “প্রস্তাবিত মোহরা ফেজ-২ প্রকল্পের জন্য যে সীমিত পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তাতে জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব পড়বে বলে চালানো সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়নি। হালদা নদীতে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পানি উত্তোলন করা হবে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে এমন কাজ করা হবে না।” 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং নতুন যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে সেগুলো অবশ্যই সমন্বয় করে নিতে হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে যেন একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো অবশ্যই টেকসই হতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে আর কোনো কিছুই নগরীতে হতে দেওয়া যাবে না।

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান ড. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাফর আলম।