২৬ মামলায় কারা অন্তরীণ ছেলের মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

চট্টগ্রামের একটি ব্যবসায়িক গ্রুপের দায়ের করা ২৬টি মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক এক কর্মকর্তার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছে তার পরিবার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2020, 04:16 PM
Updated : 25 Nov 2020, 04:23 PM

বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কেডিএস গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির’ অভিযোগ আনেন গ্রুপের সাবেক কর্মকর্তা মুনির হোসেন খানের বাবা চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মুনির হোসেন বিদেশে পড়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যাংক অব আমেরিকা ফ্লোরিডায় চাকরি করেন। ২০০৭ সালে বাল্যবন্ধু কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমানের ডাকে দেশে এসে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কেওয়াই স্টিল মিলের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের জুনের কেডিএস গ্রুপ থেকে চাকরি ছাড়ার পর প্রায় দেড় বছর বেকার থাকেন মুনির। পরে অ্যাপোলো স্টিলের পরামর্শক হিসাবে যোগ দেন।

“অল্প সময়ে সেটি কেওয়াই স্টিলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কেডিএস গ্রুপ ওই কোম্পানি ছেড়ে দিতে মুনিরকে হুমকি দেয়।”

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী মুনির চাপের কাছে নতি স্বীকার না কেডিএস গ্রুপ তার বিরুদ্ধে একে একে ২৬টি ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়েছে। এসব মামলা তিনি ১১ মাস ধরে কারাভোগ করছেন।

এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় পাঁচটি, ঢাকার গুলশান থানায় একটি এবং চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ১৯টি মামলা রয়েছে। ১৯টি মামলায় মুনির জামিনে আছেন।

তিনি বলেন, একটি মামলায় গাড়ি চুরির অভিযোগ ছাড়া বাকি সব মামলায় প্রতারণা ও অর্থ  আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ‘উদ্বেগের কথা’ জানিয়ে তিনি চিঠিও দিয়েছেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “কেডিএস গ্রুপ হয়রানিমূলকভাবে এসব মামলা করেছে। মামলায় আমাকে এবং আমার ছোট ছেলের নামও উদ্দেশ্যমূলকভাবে যুক্ত করেছে। অথচ কেডিএসের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এতে বোঝা যায় মামলাগুলো হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

“কেডিএস গ্রুপের টাকা আছে সুতরাং তারা টাকার বিনিময়ে প্রশসানের একটি অংশকে ব্যবহার করে হয়রানি করছে।”

ছেলেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ৭৭ বছর বয়সী সাবেক সরকারি চাকুরে বলেন, “আমার পুত্র এখনো বিনা কারণে কারগারে, তার স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে। এ থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে মোয়াজ্জেম হোসেনের ছোট ছেলেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।